বৃক্ষ নিনাদ
তাসনিমুল কবির নাভিদ
আমার খুব ভাংচুর হয়
একটা কালো মেঘের মন খারাপ
যে মন খারাপের কোনো ঘর বাড়ি নাই
আমি কতবার পরিচয় জানতে চেয়েছি-
কোনো পরিচয় কখনোই হয়নি, ছিলনা
আসে চলে যায় আসা যাওয়ার মাঝে
অজ্ঞাতনামা পরিচয় পৃথিবীর প্রধান পরিচয়
যেমন ছিল জীবনানন্দ দাস, রুদ্র, কাফকা
যেমন আছে হেলাল হাফিজ আর সমুদ্র
এই মন খারাপের কোনো ঘর বাড়ি নাই
কখনোই ছিল না কোনো পরিচয়, নিতান্তই পথচারী
একটা নিজস্বতা ছিল উপন্যাসের চরিত্রে
সিদ্ধার্থের মত গৃহত্যাগী আনন্দ, কখনো মুসাফির,
কখনো মহাপুরুষদের মন্ত্রে মুগ্ধতার খালি পায়ের হিমালয়
নিজের বলে হয়নি কিছু একটা পথচারী স্বভাব ছাড়া
এই ঘর বাড়ি ছাড়া অনুভূতির আশ্রয় একটা রেস্তোরাঁ
ভীর কমেনি
কান্না রান্না করা হয় যে রেস্তোরাঁয়
জ্বর সাড়েনি
ভীতু সেজে পরে থাকে যে বারান্দায়
নিদারুন শৈল্পীকতায় পরিবেশিত হয় একটা বৃক্ষের মত
পাতা ঝরা দিনে করুন নিঃসঙ্গতায় দাঁড়িয়ে থাকার মত
এই নিঃসঙ্গতার কোনো ঘর বাড়ি নাই
চোখ বুজলে একটা সমুদ্র দেখি
পাহাড় ঘেসে একটা সমুদ্র
শেষবার খুব দুঃখ পেয়ে একটা পাহাড় কিনেছিলাম
মন খারাপের পাহাড়
এই পাহাড়ের কোনো ঘর বাড়ি নাই
এরপর অজ্ঞাতনামা বড় হয়ে গেল
শখ করে মন খারাপের একটা সমুদ্র কিনেছিলাম
এই সমুদ্রের কোনো ঘর বাড়ি নাই
পথচারী সামান্য এক শিল্পী
চোখে দেখে মনে মনে আঁকে
পাতা ঝরা গাছটার বুকে লেখে
একদিন সব লেখা শেষ হবে
ট্রাম গাড়ি নয়ত সমুদ্রের দেশে
হয়ত পাহাড়ের কাঁধে কিংবা গাছে
এই মন খারাপের একটা ফাল্গুন কিনেছি
আগুনের দিনে নিজের কাছে
এই ফাল্গুনের নিঃসঙ্গতা ভিঞ্চির মত কাঁদে
ছবি আঁকে মনে, লিখে বৃক্ষে,
এক নিঃসঙ্গ পথচারী মাত্র
এই পথচারীর কোনো ঘর বাড়ি নাই
একটা মৃত চিল মানুষের সমুদ্রে ভাসে